পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের কাজ শেষের পথে। এ বছরের শেষ নাগাদ ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অমিত হাজরা। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিলি্ল সফরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে যে কয়েকটি প্রটোকল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার মধ্যে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের চুক্তিটিও ছিল। ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব মুহম্মদ হেলালউদ্দীন তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের হাতে ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি রুপির চেক তুলে দেন।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনিকেতনের দক্ষিণ পল্লীতে দুই বিঘা জমির ওপর এই ভবন তৈরির কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। সুবৃহৎ ভবনটিতে দেড়শ’জন বসার মতো একটি মিলনায়তন, ক্যাফেটারিয়া, সভাগৃহ এবং একটি সংগ্রহশালা থাকবে। ভবনের সামনে দু’পাশের একদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল থাকবে। এখানে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজ করতে পারবেন।
বর্তমানে ভবন তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে। ভবনের বাইরের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে ভেতরের কাজ। ভবনটি তৈরি করছে ভারত সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ সংস্থা ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।
শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন
0
Tags