চর্যাপদ নিয়ে যত কথা
চর্যাপদ নিয়ে যত কথা – চর্যাপদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখে নিন। চাকরির প্রস্তুতিতে এর বাইরে ইনশাআল্লাহ প্রয়োজন হবে না।
নিচে আপনার দেওয়া তথ্যগুলি সাজিয়ে উপস্থাপন করা হলো:
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ – চর্যাপদ
- বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন → চর্যাপদ।
- চর্যাপদের রচনা শুরু হয় → পাল আমলে।
- কবিতাগুলি লেখা হয়েছে → মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
- ভাষা পরিচিত → সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা নামে।
- চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ আছে।
চর্যাপদের সময়কাল
- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: চর্যাপদ রচিত হয়েছে → ৬৫০ খ্রি. – ১২০০ খ্রি.
- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়: চর্যাপদ রচিত হয়েছে → ৯৫০ খ্রি. – ১২০০ খ্রি.
আবিষ্কার ও গবেষণা
- চর্যাপদ আবিষ্কার করেন → মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
- আবিষ্কারের বছর → ১৯০৭ সাল (নেপালের রয়েল লাইব্রেরি)।
- তিনি পুঁথি সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলেন → তিব্বত ও নেপাল।
- তিনি ছিলেন → ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
- চর্যাপদ প্রকাশিত হয় → ১৯১৬ খ্রি., বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে (গ্রন্থ: হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা)।
ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাখ্যা
- চর্যাপদের ভাষাতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন → ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
- অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন → ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত (১৯৪৬ খ্রি.)।
- তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার ও প্রকাশ করেন → ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী (১৯৩৮ খ্রি.)।
- পদগুলোর ব্যাখ্যা দেন → পণ্ডিত মুনিদত্ত (সংস্কৃত টীকা দ্বারা)।
কবি ও পদ সংখ্যা
- সর্বাধিক পদ রচয়িতা → কাহ্নপা (১৩টি পদ)।
- প্রথম পূর্ণাঙ্গ পদরচয়িতা/আদি কবি → লুইপা।
- ড. শহীদুল্লাহর মতে, আদি কবি → শবরপা।
- আধুনিক বা শেষ কবি → ভুসুকুপা।
- একমাত্র কবি যিনি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন → ভুসুকুপা।
- ড. শহীদুল্লাহর মতে, পদ সংখ্যা → ৫০টি, কবি → ২৩ জন।
- সুকুমার সেনের মতে, পদ সংখ্যা → ৫১টি, কবি → ২৪ জন।
- প্রকৃতপক্ষে পাওয়া গেছে → সাড়ে ৪৬টি পদ।
- প্রবাদবাক্য রয়েছে → ৬টি (৬, ৩২, ৩৩, ৩৬, ৩৯ ও ৪৪)।