পৃথিবীর স্পন্দন (Microseism) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
🌍 পৃথিবীর স্পন্দন (Microseism) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
✅ ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
পৃথিবী প্রতি ২৬ সেকেন্ডে একবার ছন্দোবদ্ধ ও শান্তভাবে স্পন্দিত হয় — এই ঘটনা পরিচিত “মাইক্রোসিজম” (Microseism) নামে।
এই স্পন্দন মানুষের পক্ষে অনুভব করা যায় না, তবে সিসমোমিটার দিয়ে ধরা পড়ে।
✅ প্রথম পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা:
১৯৬০-এর দশকে এই স্পন্দন প্রথম লক্ষ্য করেন ভূপদার্থবিদ জ্যাক অলিভার।
শুরুতে এটি শুধু তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ ছিল।
২০০৫ সালে কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ডিজিটাল সিসমিক ডেটা ব্যবহার করে একই সংকেত শনাক্ত করেন।
✅ স্পন্দনের উৎস ও তত্ত্ব:
স্পন্দনের উৎপত্তি স্থল ধরা হয়:
গিনি উপসাগর, পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল।
নিরক্ষীয় আটলান্টিক মহাসাগর।
একটি তত্ত্ব অনুযায়ী, এটি হতে পারে সমুদ্রের তরঙ্গের আঘাতে কন্টিনেন্টাল শেলফে কম্পনের ফলে।
২০১৩ সালে চীনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেন—উৎস হতে পারে সাও টোম দ্বীপের কাছে একটি আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ।
✅ গবেষণা ও ব্যাখ্যা:
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সিসমোমিটারগুলো এই ধারাবাহিক স্পন্দন শনাক্ত করে।
এই রহস্যময় স্পন্দনের এখনও নিশ্চিত ও চূড়ান্ত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
ভূকম্পনবিদ মাইক রিটজওলার বলেন: “আমরা এখনো একটি মৌলিক ব্যাখ্যার অপেক্ষায় আছি।”
📌 গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ও অবদান
জ্যাক অলিভার – ১৯৬০-এর দশকে প্রথম এই স্পন্দনের পর্যবেক্ষণ করেন।
মাইক রিটজওলার – ২০০৫ সালের গবেষণা দলের প্রধান ভূকম্পনবিদ
চীনা গবেষক দল (২০১৩) – নতুন উৎস হিসাবে আগ্নেয়গিরির তত্ত্ব দেন